পুলিশ পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও পরীক্ষায় আসতে পারে রচনামূলক প্রশ্ন নিচে দেওয়া হলঃ
উত্তরঃ জব্দ তালিকাঃ কোন সন্দেহভাজন বস্তু, চোরাইমাল, বেওয়ারিশ সম্পত্তি, মামলার আলামত ইত্যাদি উদ্ধার করার পর পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থল থেকে উক্ত সম্পত্তি হেফাজতে নেওয়ার পর সাক্ষীদের স্বাক্ষরসহ বিপি ফরম নং ৪৪ বাংলাদেশ ফরম নং ৫২৭৬ মোতাবেক যে তিন কপি তালিকা তৈরি করেন, তাকে জব্দ তালিকা বলে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৩ (২) ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।
একটি পূর্ণাঙ্গ জব্দ তালিকা প্রস্তুতের জন্য যেসব তথ্যাবলী/বিষয় উল্লেখ থাকা আবশ্যকঃ
১. মামলার আলামত হলে মামলার সূত্র তারিখ ও ধারা উল্লেখ করতে হবে এবং সাধারণ ডায়েরি মূলে জব্দ করতে হলে সাধারণ ডায়েরি নং ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
২. জব্দ করার তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
৩. জব্দ করার সুনির্দিষ্ট স্থানের বর্ণনা উল্লেখ করতে হবে।
৪. উপস্থিত স্বাক্ষীদের নাম ঠিকানা ও স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
৫. জব্দকৃত আলামতের সুনিদিষ্ট বর্ণনা উল্লেখ করতে হবে।
৬. জব্দকৃত আলামতের ধরন উল্লেখ করতে হবে;
যেমন: পরিত্যাক্ত, বেওয়ারিশ ও মামলার আলামত ইত্যাদি।
৭. জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী অফিসারের নাম ঠিকানা ও পদবি উল্লেখ করতে হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১০৩(২) ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।
জব্দ তালিকা প্রস্তুতের আইনগত ভিত্তিঃ জব্দ তালিকা আইন মোতাবেক প্রস্তুত করা হয় বিধায় জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি আছে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৩(২) ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি।
জব্দ তালিকার উপর আলোচনা-পর্যালোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার জন্য আদালতে জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি আছে।
সাক্ষ্য আইন ৯ ধারা।
জব্দ তালিকা একটি সরকারি দলিল বিধায় সরকারি দলিল হিসেবে জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি আছে।
সাক্ষ্য আইন ৩৫, ৭৪ ধারা।
বিরোধীতা করার জন্য এবং সমর্থনের জন্য জব্দ তালিকার আইনগত ভিত্তি আছে।
সাক্ষ্য আইন ১৪৫,১৫৭ ধারা।
নোটঃ আইন ও বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয় বিধায় জব্দ তালিকা প্রস্তুতে আইনগত ভিত্তি রয়েছে।
একটু খেয়াল করুন, এই পোস্টের সকল কন্টেন্ট Law School BD অ্যাপ থেকে নেওয়া হয়েছে।
Law School BD অ্যাপে পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়—
১. সকল আইনের ভাষ্য
২. আইনের সূচি
৩. সংজ্ঞা ও পার্থক্য
৪. বাস্তব সমস্যা
৫. এমসিকিউ (MCQ)
৬. রচনামূলক প্রশ্ন
রয়েছে, যা আপনি পাবেন একটি বইয়ের মূল্যে।
এই অ্যাপটিতে প্রায় ৭-৮টি আইন বইয়ের সমপরিমান কন্টেন রয়েছে যা আপনি পাবেন একটি বইয়ের মূল্যে।
পুলিশ বিভাগীয় পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ন ৩৫০+ রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর রয়েছে Law School BD অ্যাপে।
Law School BD অ্যাপ এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
উত্তরঃ গণউপদ্রবঃ যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক জনসম্মুখে এমন কোন কার্য করে যার দ্বারা জনগণের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি হয় এমন কার্যকলাপকে গণউপদ্রব বলা হয়।
দন্ডবিধি ২৬৮ ধারা।
গণউপদ্রব নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো :- ১। যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলা বশতঃ সংক্রামক রোগ জনগণের মধ্যে ছড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে এ ধরণের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দন্ডবিধি ২৬৯, ২৭০ ধারা।
২। যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন স্থানের আবহাওয়াকে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর করে তুললে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে এ ধরণের গণ-উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দন্ডবিধি ২৭৮ ধারা।
৩। কোন ব্যক্তি খাদ্যে ভেজাল করে বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বা ভেজাল ঔষধ বিক্রয় করলে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে এ ধরণের গণ-উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দন্ডবিধি ২৭৩ – ২৭৫ ধারা।
৪। যদি কোন ব্যক্তি বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে বা অশ্বারোহণ করে গণউপদ্রব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে এ ধরণের গণ-উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দন্ডবিধি ২৭৯ ধারা।
৫। যদি কোন ব্যক্তি পটকাবাজী বা আতশবাজী করে জনমনে উপদ্রব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে এ ধরণের গণউপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দন্ডবিধি ২৮৫, ২৮৬ ধারা।
উত্তরঃ অসদাচরণ বলতে খারাপ আচরণ, ভুল বা অসঙ্গত আচরণ, কর্তব্যে অবহেলা এবং অন্যায় আচরণকে বুঝায়। সরকারি কর্মচারির আচরণ বিধির পরিপন্থী কার্যাবলীকে অসদাচরণ বলে।
এক কথায় কোন পুলিশ সদস্য কর্তৃক কর্তব্যে অবহেলা, নিয়মনীতি অমান্য করা, শৃংখলা পরিপন্থি কাজ করাসহ জনসম্মুখে এমন কোন কাজ করা যার দ্বারা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ করাকে অসদাচরণ বলে।
পুলিশ আইন ২৯ ধারা, দি পুলিশ অফিসার্স্ বিশেষ বিধানাবলী ১৯৭৬ এর ২(খ) ধারা ।
কর্তব্য সম্পাদনকালে কোন কোন কার্যক্রম অসদাচরণের পর্যায়ে অর্ন্তভূক্ত হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-১৯৮৫ এর ২(এফ) বিধি অনুযায়ী নিন্মোক্ত কার্যকলাপ অসদাচরণের অর্ন্তভূক্ত হবে।
ক) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনসঙ্গত আদেশ ইচ্ছাকৃতবাবে অমান্যকরণ।
খ) কর্তব্য কাজে চরম অবহেলা। গ) কোন আইনসঙ্গত কারণ ব্যতীত সরকারি আদেশ, বিজ্ঞপ্তি এবং নিদের্শনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা।
ঘ) কর্তৃপক্ষের নিকট কোন কর্মচারির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ পেশ করা।
পুলিশ আইন অনুযায়ী নিম্নোক্ত কাজগুলি অসদাচরণের সামিলঃ
১. কর্তব্যচ্যুতি বা নিয়মনীতি অমান্য করা।
২. কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করা।
৩. ভীরুতার অপরাধে অপরাধী হওয়া।
৪. ছুটিতে গিয়ে অতিবাস করা।
৫. পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামীকে শারীরিক নির্যাতন করা।
৬. কাউকে অন্যায়ভাবে গালি দেয়া।
৭. উৎকোচ গ্রহন করা।
পুলিশ আইন ২৯ ধারা, পিআরবি ৪৩৪ বিধি।
উত্তরঃ ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপঃ হাতের তালুর দিকে আংগুলের অগ্রভাগ থেকে প্রথম গিরা পর্যন্ত নখের এক প্রান্ত থকে অপর প্রাপ্ত পর্যন্ত যে ছাপ নেওয়া হয় সেই ছাপকে আংগুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বলে।
পিআরবি ৪৯০, ৪৯১, ৪৯৪ বিধি।
অপরাধী সনাক্তকরণে ফ্রিঙ্গার প্রিন্টের সহায়তাঃ পৃথিবীতে এক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাথে অন্য ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের কোন মিল নেই। এমনকি একই ব্যক্তির এক আঙ্গুলের ছাপের সাথে অন্য আঙ্গুলের ছাপের মিল নেই। শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালেই আঙ্গুলের এই রিজ গঠন হয়। এই রিজ সারা জীবনেও পরিবর্তন হয় না। ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ ব্যক্তি শনাক্ত করণে একটি সফল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ব্যক্তি শনাক্তকরণে এযাবৎকাল যত পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে তার মধ্যে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। ব্যক্তি শনাক্ত করণে ফিঙ্গার প্রিন্টের মতো নিখুঁত পদ্ধতি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
নিম্নে অপরাধীকে শনাক্ত করণে ফিঙ্গার প্রিন্টের ভূমিকা আলোচনা করা হলঃ
১. এক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলে না।
২. একই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ অন্য আঙ্গুলের সাথে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
৩. আঙ্গুলের ছাপ বংশগত নয়।
৪. শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালেই এই চিহ্ন সৃষ্টি হয় এবং এই চিহ্ন পরিবর্তন হয় না।
৫. যমজ ব্যক্তির ক্ষেত্রেও আঙ্গুলের ছাপ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
৬. দুর্ঘটনায় বা রোগাক্রান্ত হয়ে আঙ্গুলের ছাপ নষ্ট হয়ে গেলেও পরে আবার আপনা আপনীই আগের মতো চিহ্ন সৃষ্টি হয়।
পিআরবি ৪৯০, ৪৯১, ৪৯৪ বিধি।
সাক্ষ্য হিসাবে এবং অপরাধ প্রমাণে ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপের গুরুত্বঃ বিশেষজ্ঞের অভিমত প্রাসঙ্গিক। আঙ্গুলের ছাপকে অপরাধীর ভিজিটিং কার্ড বলা হয়। ব্যক্তি শনাক্তকরণের জন্য আঙ্গুলের ছাপ অকাট্য প্রমাণ। আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে অকুস্থলে আসামির উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়। দলিলের থাম বহিতে রক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে জালিয়াতির মামলা প্রমাণ করা যায়। আঙ্গুলের ছাপের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করে একটি মামলা সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা যায়। জালজালিয়াতি ও দলিল সৃজনের মামলায় ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ চূড়ান্ত প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ৪৫ ধারা, পিআরবি ৪৯২/৪৯৩ বিধি।
উত্তরঃ পুলিশ অফিসারের সাক্ষী তলব করার ক্ষমতাঃ (ক) পুলিশ অফিসার তল্লাশির পূর্বে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুই বা ততোধিক অধিবাসীকে সাক্ষী হিসাবে তলব করতে পারেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৩ (১) ধারা।
(খ) মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্তকালে যে কোন ব্যক্তির মৌখিক জবানবন্দি গ্রহনের জন্য সমন দিয়ে তলব করতে পারেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬০ ধারা।
(গ) পুলিশ অফিসার সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী হিসাবে ও সাহায্য করার জন্য দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে সমন দিয়ে তলব করতে পারেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৫ ধারা।
পুলিশ অফিসার জবানবন্দি রেকর্ড পদ্ধতিঃ (ক) মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মৌখিক বিবৃতি রেকর্ড করেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ (১) ধারা।
(খ) সাক্ষী পুলিশ অফিসারের নিকট সকল প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য থাকবেন তবে যে সকল প্রশ্নের জবাব তাকে কোন ফৌজদারী অভিযোগ বা দন্ডনীয় অপরাধে জড়িত করতে পারে সে সকল প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য নয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ (২) ধারা।
(গ) একাধিক ব্যক্তি সাক্ষী হলে পৃথক পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ (৩) ধারা।
উত্তরঃ কোন ব্যক্তি মোটর সাইকেল চালনাকালে তার মোটর সাইকেলে তিনি সহ ০২(দুই) জনের বেশি আরোহণ করতে পারবেন না এবং প্রত্যেককেই হেলমেট পরিধান করতে হবে। কোন ব্যক্তি মোটর সাইকেল চালনাকালে তার মটর সাইকেলে একাধিক যাত্রী নিয়ে আরোহন করলে তিনি সড়ক পরিবহন আইনের ৯২ ধারা মোতাবেক সাজা ভোগ করবেন।
সড়ক পরিবহন আইন ৪৯, ৯২ ধারা।
মোটর গাড়ি দূর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের কর্তব্যঃ সড়ক দুর্ঘটনার কারণে কোন পথচারী বা যাত্রী আহত বা নিহত হলে চালককে যে সকল দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ পালন করতে হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
(ক) চালক তার মটরযানটি নিরাপদ স্থানে পার্কিং করবেন।
(খ) চালক দুর্ঘটনার সংবাদ নিকটস্থ থানা, ফায়ার সার্ভিস বা হাসপাতালকে অবহিত করবেন।
(গ) আহত যাত্রী বা পথচারীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন।
(ঘ) আহত যাত্রী বা পথচারীর মালামাল হেফাজতে রাখবেন।
(ঙ) দুর্ঘনাটি রাত্রিবেলায় হলে মটরযানের সামনের বাতি ও পিছনের বাতি জ্বালিয়ে রাখবেন।
(চ) মটরযান চালক নিজে নিকটস্থ থানায় আত্মসমর্পন করবেন।
(ছ) সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ পুলিশকে অবহিত করবেন।
(জ) পুলিশ অফিসার উপস্থিত না থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বা ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানাবেন।
সড়ক পরিবহন আইন ৬২ ধারা।
নোটঃ যদি মটর-গাড়ির চালক তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে উক্ত চালক সড়ক পরিবহন আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন এবং শাস্তি ভোগ করবেন।
সড়ক পরিবহন আইন ৯৫ ধারা।
উত্তরঃ আসামীকে হাজতে রাখার পূর্বে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
১। আসামীকে হাজতখানায় রাখার পূর্বে আসামীর দেহ পরীক্ষা করে কোন প্রকার ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং জিডিতে নোট করতে হবে।
পিআরবি ৩২৮(খ) বিধি।
২। আসামীর দেহ তল্লাশি করে পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত সকল মালামাল হেফাজতে নিতে হবে এবং হেফাজতকৃত মালামালের প্রাপ্তী স্বীকারপত্র বন্দিকে দিতে হবে। মহিলা বন্দির ক্ষেত্রে নাকফুল, চুড়ি, শংক-বালা সরানো যাবে না।
পিআরবি ৩২৮(গ) বিধি।
৩। আসামীকে হাজত খানায় রাখার পূর্বে হাজতখানা ভালভাবে পরীক্ষা করে কোন প্রকার লাঠি, দড়ি, টুল বা আসামী পলায়ন করতে বা আত্মহত্যা করতে পারে এমন বস্তু অপসারণ করতে হবে।
পিআরবি ৩২৮(ঘ) বিধি।
৪। আসামীকে হাজতখানায় রাখার পূর্বে আসামী অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
পিআরবি ৩২১ বিধি।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম-ঠিকানা, বয়স ও মামলা নম্বরসহ গ্রেফতার সংক্রান্তে জিডিতে নোট করতে হবে।
পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি।
৬। আসামীকে হাজতখানায় রেখে হাজতখানায় তালা লাগাতে হবে এবং প্রহরী নিয়োগ করতে হবে।
পিআরবি ৩২৯ বিধি।
উত্তরঃ যেসকল ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ- (ক) কোন মামলার তদন্তকারী অফিসার যদি মনে করেন যে, তার মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কোন দ্রব্য থানার অন্তর্গত কোথায়ও লুকায়িত আছে তবে তিনি তল্লাশী পরোয়ানা ছাড়া উক্ত স্থান তল্লাশী করতে পারবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৫ ধারা।
(খ) থানার অফিসার-ইন-চার্জ এস আই -এর নিম্নপদে নহে এরূপ অফিসারকে দিয়ে যে কোন সময় যে কোন স্থান বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী করাতে পারবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৬ ধারা।
(গ) পুলিশ অফিসার গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকরী করতে যে স্থানে আসামী লুকায়িত আছে সে স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে উক্ত স্থান বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী করতে পারবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৭ ধারা।
(ঘ) মহাপরিচালক অথবা তার নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো অফিসার যদি মনে করেন যে, মাদকদ্রব্য আইনে কোন অপরাধ কোন স্থানে সংঘটিত হচ্ছে তাহলে উক্ত স্থান বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী করতে পারবেন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০ ধারা।
(ঙ) পুলিশ অফিসার তার কর্তব্য পালন করার সময় কোন সরাবখানা বা জুয়ার আড্ডায় বিনা পরোয়ানায় প্রবেশ করে যা কিছু আছে তা হেফাজতে গ্রহণ করতে পারবেন।
পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা।
(চ) কনষ্টেবলের চেয়ে উপরে যে কোন পুলিশ অফিসার যে স্থানে অবৈধভাবে আফিম জমা আছে উক্ত স্থান থেকে আফিম উদ্ধারের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী করতে পারবেন।
আফিম আইনের ১৪ ধারা।
নোটঃ তল্লাশি সম্পূর্ণ কাজ পিআরবি ২৮০ বিধি অনুসরণ করে করতে হয়।
উত্তরঃ অপহরণকৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলো- (ক) অপহরণের বিষয়টি জিডিতে নোট করতে হবে।
পুলিশ আইন ৪৪ ধারা, পিআরবি ৩৭৭ বিধি।
(খ) এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে অবগত করতে হবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫০ ধারা, পিআরবি ১২০ বিধি, পুলিশ আইন ২৩(৩) ধারা।
(গ) অপহরণকৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য পার্শ্ববর্তী থানা সমূহে হৈচৈ বিজ্ঞাপন ও ইনকোয়ারী স্লীপ প্রেরণ করতে হবে।
পিআরবি ২৫০, ৩৮৯ বিধি।
(ঘ) অপহরণের ঘটনাটি যদি যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় তাহলে বাদীর কাছ থেকে এজাহার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করতে হবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা, পিআরবি ২৪৩ (গ) বিধি।
(ঙ) অপহরণ হওয়া ব্যক্তি কোনো স্থানে লুকায়িত আছে বলে বিশ্বাস করার কারণ থাকলে সেই স্থানে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করে উদ্ধার করতে হবে।
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৫/১৬৬ ধারা।
(চ) প্রয়োজনে আদালত হতে অপহরণ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য পরোয়ানা নিয়ে উদ্ধার করতে হবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১০০ ধারা।
(ছ) কললিস্ট সংগ্রহ করে অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ৯৭(ক) ধারা।
(জ) অপহরণ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা ও অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য সোর্স নিয়োগ করতে হবে।
সাক্ষ্য আইন ১২৫ ধারা, পিআরবি ২৯৩ বিধি।
(ঝ) অপহরণ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হলে আদালতের মাধ্যমে আইনানুগভাবে অভিভাবকের নিকট ফেরত দিতে হবে।
উত্তরঃ এজাহারঃ কোন আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় মৌখিক বা লিখিতভাবে পৌছালে থানার অফিসার ইনচার্জ উক্ত অভিযোগের সারমর্ম বিপি ফরম নং-২৭ ও বাংলাদেশ ফরম নং-৫৩৫৬ এর নির্দেশনা অনুসারে লিপিবদ্ধ করেন একেই এজাহার বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বলে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা, পিআরবি ২৪৩(গ) বিধি।
এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্যঃ (ক) কোনো বিচার্য ঘটনার কোনো পক্ষের বা পক্ষের প্রতিনিধির আচার/আচরণ হিসেবে এজাহার আদালতে প্রাসঙ্গিক। একারণে এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ৮ ধারা।
(খ) এজাহারে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়গুলোর উপর আদালতে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আলোচনা করা হয় বিধায় এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য অপরিসীম।
সাক্ষ্য আইন ৯ ধারা।
(গ) কর্তব্য সম্পাদনকালে পুলিশ অফিসার কর্তৃক সরকারি দলিলে লিপিবদ্ধ বিষয় হিসেবে এফআইআর আদালতে প্রাসঙ্গিক বাগ্রহণযোগ্য হবে। একারণে এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ৩৫ ধারা।
(ঘ) এজাহার একটি সরকারি দলিলরূপে গণ্য হয় এবং তা আদালতে প্রদর্শিত হয়ে থাকে বিধায় এজাহারের সাক্ষ্যগত মুল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ৭৪ ধারা।
(ঙ) এজাহার একটি বিশুদ্ধ দলিল হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এজাহারের সাক্ষ্যগত মুল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ৮০ ধারা।
(চ) বাদীর সাক্ষ্যের পূর্বোক্ত বিবৃতির অসঙ্গতি বিষয় খন্ডনের জন্য এজাহার আদালতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একারণে এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ১৪৫ ধারা।
(ছ) বাদীর সাক্ষ্যের সমর্থনমূলক বিষয় হিসেবে এজাহার আদালতে প্রাসঙ্গিক বিধায় এজাহারের সাক্ষ্যগত মুল্য আছে।
সাক্ষ্য আইন ১৫৭ ধারা।
১১. ক্রাইমসিন কি ? ক্রাইমসিন বা ঘটনাস্থলে প্রথম সাড়াদানকারী পুলিশ অফিসারের করণীয় কি আলোচনা করুন।
ক্রাইমসিনঃ Crime অর্থ অপরাধ, আর Scene অর্থ দৃশ্যপট অর্থাৎ ক্রাইমসিন অর্থ হলো অপরাধস্থলের দৃশ্যপট। অপরাধকারীরা অপরাধ করার পর নিজের অজ্ঞাতসারে কোন না কোন আলামত বা চিহ্ন অপরাধস্থলে রেখে যায়, অপরাধীরা যে যে স্থানে এসব আলামত বা চিহ্ন প্রভৃতি রেখে যায় সে সকল স্থানকে ক্রাইমসিন বলে।
পিআরবি ৬৩৫ (৩) বিধি।
ক্রাইমসিন বা ঘটনাস্থলে প্রথম সাড়াদানকারী পুলিশ অফিসারের করণীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
১। প্রথম সাড়াদানকারী কর্মকর্তা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ক্রাইমসিনে অবস্থান করবেন।
২। ক্রাইমসিনকে বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করে রাখবেন।
৩। কোন বহিরাগত লোক যাতে ক্রাইমসিনে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করবেন।
৪। ক্রামইমসিনের সার্বিক আলোকচিত্র উত্তোলন করবেন।
৫। মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন।
৬। আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে প্রেরণ করবেন।
৭। ক্রাইমসিনকে সুরক্ষা প্রদান করবেন।
৮। তাৎক্ষণিক ক্রামইসিন হতে বস্তুগত আলামত সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক টিমকে সংবাদ প্রদান করবেন।
৯। প্রতিটি বস্তুকে আলামত হিসাবে জব্দ করবেন।
১০। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করবেন।
১১। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট ক্রাইমসিনের সংগৃহীত আলামত ও যাবতীয় কার্যক্রম হস্তান্তর করবেন।
পিআরবি ৬৩৫(৩) বিধি।
আপনার পুলিশ পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করতে Law School BD অ্যাপে ৩৫০+ রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর পড়তে ও শিখতে পারেন।