গ্রেফতারী পরোয়ানা কে ইংরেজিতে Warrant of Arrest বলা হয়।
মানবাধিকার
মৌলিক অধিকার
১৯৪৮ সালের ১০ ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এই ঐতিহাসিক দলিল গ্রহণের মধ্যে দিয়ে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয় ।
মৌলিক অধিকার হলো জন্ম থেকেই মানুষের কিছু অধিকার থাকে তাকে মৌলিক অধিকার বলে। যেমনঃ খাদ্য বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি। বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ (২৬-৪৭) পর্যন্ত মৌলিক অধিকার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
আইন দ্বারা আরোপিত বিধি নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ,হস্তান্তর ও অন্যভাবে বিলি ব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে। কোন সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ বা দখল করা যাবে না। বাংলাদেশ সংবিধান অনুচ্ছেদ ৪২
মানবাধিকারকে ইংরেজিতে Human Rights বলা হয়।
মৌলিক অধিকারকে ইংরেজিতে Fundamental Right বলা হয়।
আইনানুযায়ী জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ সংবিধান অনুচ্ছেদ ৩২।
প্রত্যেকেরই জীবন ধারণ স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষনাপত্র ৩ ধারা।
একটু খেয়াল করুন, এই পোস্টের সকল কন্টেন্ট Law School BD অ্যাপ থেকে নেওয়া হয়েছে।
Law School BD অ্যাপে পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়— ১. সকল আইনের ভাষ্য ২. আইনের সূচি ৩. সংজ্ঞা ও পার্থক্য ৪. বাস্তব সমস্যা ৫. এমসিকিউ (MCQ) ৬. রচনামূলক প্রশ্ন রয়েছে, যা আপনি পাবেন একটি বইয়ের মূল্যে।
এই অ্যাপটিতে প্রায় ৭-৮টি আইন বইয়ের সমপরিমান কন্টেন রয়েছে যা আপনি পাবেন একটি বইয়ের মূল্যে।
Law School BD অ্যাপে পুলিশ পদোন্নতির প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ন ৮০+ পার্থক্য রয়েছে।
বেআইনী সমাবেশে যোগদানকারী ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির সাধারণ লক্ষ্য এক ও অভিন্ন হলে এবং তাদের যে কোনো একজনের দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হলে সকলেই দন্ডবিধি আইনের ১৪৯ ধারা অনুসারে অপরাধী হবেন।
একই উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক একই ইচ্ছা বা একই অভিপ্রায় পূরণকল্পে কোনো অপরাধ কায সম্পাদন করলে দন্ডবিধি আইনের ৩৪ ধারা অনুসারে অপরাধী হবেন।
এক্ষেত্রে অপরাধীকে পূর্ব পরিকল্পনা ঠিক করতে হয় না।
এক্ষেত্রে অপরাধীকে পূর্ব পরিকল্পনা ঠিক করতে হয়।
এক্ষেত্রে অপরাধীর সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ বা ততোধিক হতে হয়।
এক্ষেত্রে অপরাধীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, তবে একের অধিক হতে হয়।
ইহা দন্ডবিধি আইনের ১৪১ ধারার যে কোন একটি উদ্দেশ্যের জন্য প্রযোজ্য।
ইহা যে কোনা অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এক্ষেত্রে অপরাধ অপরাধীদের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকতে হয়।
এক্ষেত্রে অপরাধ অপরাধীদের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকতে হয় না ।
সাধারণ উদ্দেশ্যে দন্ডবিধি ১৪৯ ধারা।
সাধারণ অভিপ্রায় দন্ডবিধি ৩৪ ধারা।
সাধারণ উদ্দেশ্য শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Common Object
সাধারণ অভিপ্রায় শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Common Intention
দাঙ্গা
বেআইনী সমাবেশ
কোন বেআইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক যদি বলপ্রয়োগ করা হয় বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হয় তাকে দাঙ্গা বলে। আইনের পরিভাষায় বেআইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক বলপ্রয়োগ, উগ্রতা বা হিংস্রতা প্রদর্শন করাকে দাঙ্গা বলে।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি মিলিত হয়ে সরকারি কর্মচারীর সরকারি কার্যে বাধা প্রদান করে বা কোন ব্যক্তি যে কাজ করতে আইনানুগভাবে বাধ্য সে কাজে বাধা প্রদান করে বা যে কাজ করতে বাধ্য নয় সে কাজ করতে বাধ্য করে বা জনগণের অধিকার খর্ব করে বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে অনধিকার প্রবেশ করে তাহলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে।
বেআইনী সমাবেশ থেকে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ সংঘটিত হয়।
দাঙ্গার ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Riot
বেআইনী সমাবেশ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Unlawful Assembly
দাঙ্গা সংঙ্গা দন্ডবিধি আইনের ১৪৬ ধারা।
বেআইনী সমাবেশ সংঙ্গা দন্ডবিধি আইনের ১৪১ ধারা।
দাঙ্গার শাস্তি দন্ডবিধি আইনের ১৪৭ ধারা।
বেআইনী সমাবেশের শাস্তি দন্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারা।
বেআইনী আটক
বেআইনী বাধাদান
যে ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে তার গতিপথ রোধকল্পে নির্দিষ্ট সীমানার বাহিরে যাওয়ার জন্য বাধাদান/নিষেধ করে তাকে অবৈধ অবরোধ /অন্যায় আটক বলে।দণ্ডবিধি ৩৪০/৩৪২ ধারা।
যে ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে তাহার যে দিকে যাওয়ার অধিকার আছে সেই পথে/দিকে যাওয়ার বাধা দান/নিষেধ করে তাকে অবৈধ বাধা/অন্যায় নিয়ন্ত্রন বলে। দণ্ডবিধি ৩৩৯ ধারা।
সাধারণ ডায়েরীর সাক্ষ্যগত মূল্য কম। সাক্ষ্য আইনের ৯,৩৫,৭৪ ধারা।
বিপি ফরম নং- ২৭, বাংলাদেশ ফরম নং- ৫৩৫৬
বিপি ফরম নং- ৬৫, বাংলাদেশ ফরম নং- ৫৩৬৫
প্রাসঙ্গিক বিষয়
বিচার্য বিষয়
যে বিষয়গুলি বিজ্ঞ আদালতে গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণ করার মতো বা গ্রহণ করবে বলে মনে হয় এমন বিষয়কে প্রাসঙ্গিক বিষয় বলে ।
যে বিষয় গুলি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে বিচার করা হয় সেই বিষয় গুলিকে বিচার্য বিষয় বলে।
গ্রহণ করার মতো বিষয় গুলি হল প্রাসঙ্গিক বিষয়।
বিচার করার মতো বিষয় গুলোকে হল বিচার্য বিষয়।
আদালতে প্রাসঙ্গিক ঘটনা বা বিষয় দ্বারা বিচার্য বিষয় প্রভাবিত হয়।
আদালতে বিচার্য বিষয়ের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রাসঙ্গিক বিষয় আদালতে বিচার্য বিষয়কে সম্ভব বা অসম্ভব করে তোলে।
বিচার্য বিষয় আদালতকে মামলার বিচার কার্যক্রমে ফলাফল নির্ধারণে সহায়তা করে।
প্রাসঙ্গিক বিষয় সাক্ষ্য আইন ৩ ধারা।
বিচার্য বিষয় সাক্ষ্য আইন ৩ ধারা।
নালিশ
অভিযোগ
কোন ব্যক্তি সুবিচার পাওয়ার জন্য অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচারকের নিকট লিখিত বা মৌখিকভাবে যে অভিযোগ করা হয় তাকে নালিশ বলে।
কোন ব্যক্তি সুবিচার পাওয়ার জন্য অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচারকের নিকট লিখিতভাবে যে নালিশ করা হয় তাকে অভিযোগ বলে।
নালিশ লিখিত বা মৌখিকভাবে দাখিল করা যায়
অভিযোগ লিখিত আকারে আদালতে দাখিল করতে হয়।
নালিশ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪-জ ধারা।
অভিযোগ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪-গ ধারা।
পিআর স্লিপ
অনুসন্ধান স্লিপ
যে অপরাধীর সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগামী সপ্তাহে জেল খানা থেকে ছাড়া পাবে এমন অপরাধীদের পিআরভুক্ত করার জন্য কোর্ট থেকে যে পত্র প্রেরণ করা হয় তাকে পিআর স্লিপ বলে।
মামলার সন্দেহভাজন আসামীকে গ্রেফতারের পর তার নাম ঠিকানা স্বভাব চরিত্র যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা যে পত্র প্রেরণ করে তাকে অনুসন্ধান স্লিপ বলে ।
পিআর স্লিপ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য কোর্ট অফিসার প্রেরণ করেন।
অনুসন্ধান স্লিপ তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রেরণ করেন।
সাজাপ্রাপ্তর পরিচয় যাচাই না হলে স্লিপে লাল কালিতে “Unidentified” এবং রাজনৈতিক সাজাপ্রাপ্তর ক্ষেত্রে “Political” লিখতে হয়।
অনুসন্ধান স্লিপ রিসিভ রেজিস্টারে লাল কালিতে লিখতে হয়।
এক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়।
এক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হয় না।
পিআর স্লিপ বিপি, ফরম নং-৯৫-এ তৈরি করা হয়।
অনুসন্ধান স্লিপ বিপি, ফরম নং-৯৬-এ তৈরি করা হয়।
পিআর স্লিপ পুলিশ প্রবিধান ৫০১ বিধি ।
অনুসন্ধান স্লিপ পুলিশ প্রবিধান ৩৮৯ বিধি ।
রিট
ইনজাংশন
ইহা ফৌজদারী আপীল এখতিয়ারের সীমার মধ্যে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি সম্পর্কে আইনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ইনজাংসন এর মাধ্যমে আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
হাইকোর্ট বিভাগ যখনই উপযুক্ত মনে করেন তখন নির্দেশ দিতে পারবেন।
ইনজাংসন ব্যবস্থার মাধ্যমে আইন সঙ্গতভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির প্রতি বাধা, ক্ষতি, দাঙ্গা বা মারামারি নিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ৪৯১ ধারায় রীট এর উল্লেখ আছে।
জরুরী পরিস্থিতিতে বা যার উপর আদেশ দেয়া হচ্ছে সময় মত তার উপর নোটিশ জারী করার মত পরিস্থিতি নাই সেই সকল ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রদান করা হয়।
ইহার মাধ্যমে সরকারী বা বেসরকারী হেফাজতে বেআইনীভাবে আটক কোন বাক্তিকে মুক্তি দেয়া হয়।
স্থাবর সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইনজাংসন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
রীট ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্টিত হয়।
ইনজাংশন সংক্রান্ত আদেশ একমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে থাকেন।
রিট হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়া।
কোন ব্যক্তির অবৈধ কার্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও মানুষের অধিকার রক্ষায় ইনজাংসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুলিশ বিভাগীয় পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করতে Law School BD অ্যাপে ৮০+ পার্থক্য পড়তে ও শিখতে পারেন।